চাহিদা মাফিক ও চাকুরির যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষা;
শিক্ষার সাধারণ উদ্দেশ্য:
দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি সাধনের জন্য শিক্ষাকে সৃজনধর্মী প্রয়োগমুখী ও উৎপাদন সহায়ক করে তোলা; শিক্ষার্থীদেরকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব হিসেবে গড়ে তেলা এবং তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলির বিকাশে সহায়তা করা।
জাতি, ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে আর্থসামাজিক শ্রেণি-বৈষম্য ও নারী পুরুষ বৈষম্য দূর করা, অসাম্প্রদায়িকতা, বিশ্ব-ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও মানুষে মানুষে সহমর্মিতাবোধ গড়ে তোলা এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলা।
ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে নৈতিক, মানবিক, সাংস্কৃতিক, বিজ্ঞানভিত্তিক ও সামাজিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠাকল্পে শিক্ষার্থীদের মননে, কর্মে ও ব্যবহারিক জীবনে উদ্দীপনা সৃষ্টি করা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করে তোলা ও তাদের চিন্তা-চেতনায় দেশাত্ববোধ, জাতীয়তাবোধ এবং তাদের চরিত্রে সুনাগরিকের গুণাবলির যেমন: ন্যায়বোধ, অসাম্প্রদায়িক-চেতনাবোধ, কর্তব্যবোধ, মানবাধিকার সচেতনতা, মুক্তবুদ্ধির চর্চা, শৃঙ্খলা, সৎ জীবনযাপনের মানসিকতা, সৌহার্দ্য, অধ্যবসায় ইত্যাদি বিকাশ ঘটানো।
জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারা বিকশিত করে প্রজন্ম পরস্পরায় সঞ্চালনের ব্যবস্থা করা।
দেশজ আবহ ও উপাদান সম্পৃক্ততার মাধ্যমে শিক্ষাকে শিক্ষার্থীর চিন্তা-চেতনা ও সৃজনশীলতার উজ্জীবন এবং তার জীবনঘনিষ্ঠ বিকাশে সহায়তা করা।
বৈষম্যহীন সমাজ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে মেধা ও প্রবণতা অনুযায়ী স্থানিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে সকলের জন্য শিক্ষা লাভের সমান সুযোগ-সুবিধা অবারিত করা। শিক্ষাকে মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে পণ্য হিসেবে ব্যবহার না করা।
গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ বিকাশের জন্য পারস্পরিক মতাদর্শের প্রতি সহনশীল হওয়া এবং জীবনমুখী বস্তুনিষ্ঠ ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশে সহায়তা করা।
মুখস্থ বিদ্যার পরিবর্তে বিকশিত চিন্তাশক্তি, কল্পনাশক্তি ও অনুসন্ধিৎসু মননের অধিকার হয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে মানসম্পন্ন যোগ্যতা অর্জন করতে পারে তা নিশ্চিত করা।
বিশ্বপরিমন্ডলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে ও বিষয়ে উচ্চমানের দক্ষতা সৃষ্টি করা।
জ্ঞানভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর (ডিজিটাল) বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য ও প্রযুক্তি (আইসিটি) এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য (গণিত, বিজ্ঞান ও ইংরেজি) শিক্ষাকে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করা।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনসহ প্রাকৃতিক ও সামাজিক পরিবেশ-সচেতনতা এবং এতদসংক্রান্ত বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করা।
দেশের আদিবাসীসহ সকল ক্ষুদ্রজাতিসত্তার সংস্কৃতি ও ভাষার বিকাশ ঘটনানো।
সব ধরণের প্রতিবন্ধীর শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা।
4. অর্জনসমূহ
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে সরবরাহকৃ পাঠ্যপুস্তক সংগ্রহ করে জেলা ও মাঠ পর্যায়ে সু-শৃঙ্খলভাবে বিতরণ এবং প্রতিষ্ঠানের চাহিদা সংগ্রহ করে পরবর্তী বছরের সরবরাহের জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ
জাতীয় দিবসসহ সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক অন্যান্য দিবস সমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন।
জেলায় কর্মরত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান।
আইসিটি ও ভাষা ল্যাবসমূহ যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিশ্চিতকরণ।
কৃতিভিত্তিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির ব্যবহার।
ধারাবাহিক মূল্যায়নের ব্যবহার।
জেন্ডার সমতা আনয়ন।
ঝরে পড়া রোধ।
কারিগরি ও বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করা।
বছরের শুরুতে মাউশি নির্ধারিত ইএমআইএস সেলে আইএমএস মডিউল তথ্য হালনাগাদ করণ।
প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক মাউশি নির্ধারিত প্রাতিষ্ঠানিক স্ব-মূল্যায়ন ছক যথাযথভাবে পূরণ করে নিজের প্রতিষ্ঠানের ক্যাটাগরি সম্পর্কে ধারণা লাভ।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও এর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে শ্রেণি কক্ষে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের ব্যবহার নিশ্চিত করা।
সঠিক সময়ে অনলাইন-এর মাধ্যমে এমপিও প্রত্যাশী শিক্ষকদের ফাইল প্রেরণ।